চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রাজশাহী বিভাগের সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) মহানগরীর নিউমার্কেট সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপিদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এ সময় ১৫ জানুয়ারি রাজশাহীর সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ এবং ১৬ জানুয়ারি স্ব-স্ব সিভিল সার্জন অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী বিভাগের আহ্বায়ক আফাজ উদ্দিন লিটন বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রধান মাধ্যম কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় ১৪ হাজার কর্মচারী কাজ করছেন। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। অত্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করার পরেও আমাদের চাকরি স্থায়ী হচ্ছে না।
এতে প্রায় ১৪ হাজার পরিবার ইনক্রিমেন্ট, বিনোদন ও প্রশান্তি ভাতাসহ সরকারের দেওয়া সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে স্বচ্ছলভাবে দিন কাটানো যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আমাদের জানানো হয় অতি দ্রুত চাকরি জাতীয়করণ করা হবে। কিন্তু এরপরেও চাকরি রাজস্বকরণ হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এগুলো হলো- চট্টগ্রাম বিভাগের কর্মসূচিকে সমর্থন করে শুক্রবার থেকেই রাজশাহী বিভাগের সব রিপোর্ট বন্ধ থাকবে, ১৫ জানুয়ারি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান, ১৬ জানুয়ারি স্ব স্ব সিভিল সার্জনে অবস্থান এবং ২০ তারিখের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে ঢাকায় আমরণ অনশন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী বিভাগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফেরদৌস হোসেন, সোহেল রানা, শিফাত আহম্মেদ খান, মিজানুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, পাবনা জেলা সভাপতি শাহাবুল ইসলাম, সম্পাদক আজম আলী, বগুড়া জেলা সভাপতি মাহাবুবুর রহমান পয়েট, রাজশাহী জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান অন্তর প্রমুখ।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
0 comments:
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.