ষড়যন্ত্রের কাছে হার মানবো না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। কতিপয় অনলাইন পত্রিকায়
সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদকে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার বলে উল্লেখ করে নিজ
ফেসবুক ওয়ালে এ কথা বলেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এ ধরনের রিপোর্টের পেছনে ঈর্ষা কাতর এবং অন্যায়ভাবে সুবিধা অর্জন করতে পারছেন
না এমন স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত বলে মনে করেন তিনি। রিপোর্ট সম্পর্কে
ব্যবস্থা নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ইতিমধ্যে আইন শৃংখলা বাহিনীর গোচরে বিষয়টি এনেছি। তারা সাইবার অপরাধ হিসেবে বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
ফেসবুকে পোস্ট করা লেখার শুরুতেই সহকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘প্রিয়
সহকর্মীগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিছু হীনমন্য মানুষের কুকীর্তির কথা
জানাবো। কেউ কেউ হয়ত লক্ষ্য করেছেন অন্ততঃ তিনটি অপরিচিত তথাকথিত অনলাইন
পত্রিকায় একই সংবাদ হুবহু একই ভাষায় একই সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটিতে
আমাকে উদ্ধৃত করেও মিথ্যা কথন করা হয়েছে।
ফেসবুকে দেয়া পোস্টে পত্রিকার কয়েকটি লাইন হুবহু উদ্ধৃত করেছেন
তিনি। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘মন্ত্রণালয়ের দুটি অধিদপ্তরের
মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাঁর স্ত্রীর নামে কোম্পানী করে তথ্য
প্রযুক্তির ব্যবসা করছেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। পরিবার
পরিকল্পনার মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই।"
এরপরই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বচ্ছতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে নিজের
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও পরিবারের আয়ের উৎস প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘‘আমি
দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই আমাকে আপনারা যেমনভাবে চেনেন আমি তেমনই আছি।
মহাপরিচালক হয়ে সততা, একনিষ্ঠতা, জবাবদিহিতা কোন বিষয়েই আমি এতটুকু বদলাই
নাই। জীবনে দুর্নীতির ধারে কাছে যাই নাই। বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও যাবো না
ইনশা আল্লাহ্। আমার স্ত্রী চিকিৎসা বিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক। দীর্ঘ ত্রিশ
বছর ধরে একই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে সুনামের সাথে চাকুরী করছেন। তার
ছাত্র-ছাত্রীরাই বলতে পারবে তার চরিত্রের মহিমার কথা। আমাদের দুজনের বৈধ
আয়েই আমাদের সংসার ভালোভাবে চলে। উভয়ের দেশের বাড়িতেও পৈত্রিক সম্পত্তি
আছে।’’
পত্রিকায় আসা ব্যবসা প্রসঙ্গেও জবাব দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। বলেছেন, ‘‘আমাদের
দুজনের কারুরই কোন ব্যবসা নেই। তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানী তো দূরের কথা তার
বা আমার নামে কোন ধরণের কোম্পানী নেই। দুদক এসব নিয়ে তদন্ত করছে বলেও
আমাদের জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।’’
পদ-পদবীর সুবাদে কোথাও প্রভাব বিস্তার করেছি এমন অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে কেউই দিতে পারবে না- উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘‘এতগুলো
কথা বললাম এজন্য যে, আপনারা যেন বিভ্রান্ত না হন। আমি মনপ্রাণ দিয়ে কাজ
করছি, যাতে সামান্য সময় যেটুকু পাওয়া যায়- তা কাজে লাগিয়ে দেশের স্বাস্থ্য
ব্যবস্থার জন্য এবং আপনাদের সবার জন্য কিছুটা ভালো করতে পারি।’’
তিনটি একেবারেই অপরিচিত তথাকথিত অনলাইন পত্রিকায় একই তারিখে একই সংবাদ
হুবহু একই ভাষায় প্রকাশিত হওয়ায়- বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন অধ্যাপক
ডা. আবুল কালাম আজাদ। এর পেছনে ঈর্ষা কাতর এবং অন্যায়ভাবে সুবিধা অর্জন
করতে পারছেন না এমন স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত বলে মনে করেন তিনি। অবশ্য
এর কারণও তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। ‘‘আমরা যারা ভালো কিছু করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি তাদের দুর্বল করে দেয়া এবং অপচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের সুনাম নষ্ট করা।’’
আমরা এদের ষড়যন্ত্রের কাছে হার মানবো না- উল্লেখ করে ফেসবুক স্ট্যাটাসের সবশেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছেন, ‘আমাদের
ভালো কাজগুলোর প্রতি আমাদের অকুতভয় দূরদর্শী ও বিচক্ষণ প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার সমর্থন অব্যাহত থাকবে। মহাপরাক্রমশালী পরম করুণাময় আমাদের সাথে
আছেন। আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়া কামনা করি সব সময়।’
0 comments:
Post a Comment