![]() |
২
কোটি
১৪
লাখ
শিশুকে
ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
|
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন দিবস
আগামী ১৪ নভেম্বর ২০১৫ সালে রোজ শনিবার সারা দেশে প্রায় ২ কোটি ১৪ লাখের বেশি শিশুকে
ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হবে। বৃহষ্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক
এ কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন-‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর হার শতভাগে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে এবং ‘এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগেরও নিচে নেমেছে। এবছর দুর্গম এলাকাগুলোতেও এই ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পেইন পর্যালোচনা করতে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রে এ দিবসে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে বলেও জানান তিনি।
এই কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মা-বাবা ও অভিভাবকরা যেন অবশ্যই তাদের শিশুদের এ সেবা নিতে কেন্দ্রে আসেন আনেন। মন্ত্রণালয়, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, ছাত্র-শিক্ষক, সাংবাদিক-সবাই এ কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
তিনি বলেন, ‘শিশুদের অবশ্যই ভরপেটে আসতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভিতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ক্যাপসুল খাওয়ানো ঠিক হবে না।
খাওয়ানোর নিয়মঃ
১. এ দিনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে
১ টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই, ইউ)
২. এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে
১ টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই, ইউ) খাওয়ানো হবে।
একই সাথে শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের
দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানোসহ অন্যান্য পুষ্টি বার্তা প্রচার
করা হবে।
দিবসটিতে টিকাদান কেন্দ্রগুলো খোলা থাকবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রায় এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, ব্রিজের টোলপ্লাজা, বিমানবন্দর, ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের টিকা খাওয়ানো হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে ৩ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।
0 comments:
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.