একজন শিশু বা বাচ্চা লালন পালনের ক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য ও সর্বস্বীকৃত! শিশুরা যখন রোগে আক্রান্ত হয় তখন আমাদের মায়েরাই সবচেয়ে বেশী চিন্তিত হয়। অনেক সময় মায়েরা সঠিক দিক নির্দেশনা না জানার কারণে অসুস্থতার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে পারে না। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডায়রিয়া। যদি ডায়রিয়া রোগ নির্ণয় করা যায় তবে - একটু সচেতন হলেই সকল মায়েরা এই ডায়রিয়ার চিকিৎসা ঘরে বসেই নিজে নিজে করতে পারবে।
নিচে ০২-০৫ বছর বয়স্ক শিশুদের বাড়িতে কিভাবে চিকিৎসা সেবা দেয়া যায় তা বিস্তারিত আলোকপাত করা হলঃ
বাড়িতে
ডায়রিয়ার চিকিৎসা:
বাড়িতে ২-৫ বছরের শিশুর ডায়রিয়ার
চিকিৎসার জন্য মাকে ৪ টি নিয়ম জানতে হবেঃ
১. বারবার তরল
খাবার দেওয়া,
২. জিংক ট্যাবলেট খাওয়ানো,
৩. স্বাভাবিক খাবার চালু রাখা,
৪. পুনরায় কখন স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তার দেখাতে হবে
১. বারবার
তরল খাবার দিন (শিশু যে পরিমাণ খেতে পারে)
মায়েদের যা জানা প্রয়োজন :
- ঘন ঘন বুকের দুধ দিন এবং প্রতিবারে বেশী সময় ধরে দিন
- যদি শিশু শুধুমাত্র বুকের দুধ খায়, তাহলে সেই সাথে ওআরএস বা নিরাপদ পানি দিন
- যদি শিশু শুধুমাত্র বুকের দুধ না খায়, তাহলে নিম্নলিখিত এক বা একাধিক তরল খাবার
খেতে দিন: ওআরএস, সুপারিশকৃত
তরল খাবার যেমন: (ভাতের মাড়, চিড়ার পানি)
অথবা নিরাপদ পানি
বাড়িতে
ওআরএস দেওয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ,
ওআরএস তৈরি
এবং কিভাবে খাওয়াতে হবে তা মাকে সেবাপ্রদানকারী হতে বুজে নিন।
স্বাভাবিক তরল খাবারের সাথে যে পরিমাণ অতিরিক্ত তরল খাবার দিতে
০২ বছর পর্যন্ত - ৫০ থেকে ১০০ মিলি প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে
০২ বছর বা বেশী বয়সের - ১০০ থেকে ২০০ মিলি প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে
মায়েদের যা মনে রাখতে হবে
- কাপ থেকে বারবার অল্প পরিমান খেতে দিন
- শিশু বমি করলে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর আবার খাওয়ান, তবে ধীরে ধীরে হতে
হবে
- ডায়রিয়া বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত তরল খাবার চালু রাখুন
২. ০৬ মাসের উর্ধে্ব সকল শিশুর জন্য ১০ দিন জিংক ট্যাবলেট নিতে হবে
মাকে যা জানতে হবে
- ৬ মাস তার উর্ধেব ১ টি ট্যাবলেট (২০ মি.গ্রা) করে প্রতিদিন ১০ জিংক ট্যাবলেট দিতে হবে
- ছোট শিশু বা গিলতে না পারলে ট্যাবলেটটি মায়ের দুধের সাথে অথবা ও,আর,এস অথবা
পরিস্কার পানি দিয়ে খাওয়াতে হবে
- বড় শিশু হলে পানিতে গিলে অথবা পরিস্কার পানিতে মিশিয়ে কাপ বা চামুচ দিয়ে খাওয়াতে
হবে
৩. স্বাভাবিক খাবার চালু রাখুন
পরিবারের রান্নাকৃত খাদ্য যা বাচ্চাদের খাওয়ানো হয় অবশ্যই স্বাভাবিক নিয়মে চালু রাখতে হবে
৪. আবার কখন সেবাপ্রদানাকারীর নিকট নিয়ে যেতে হবে
- বুকের দুধ কম খায় বা কম পান করে
- অবস্থঅ আরও খারাপ হয় (খিচুনি)
- জ্বর আসে অথবা ঠান্ডা অনুভূত হয়
- দ্রুত শ্বাস
- শ্বাস কষ্ট
- মলে রক্ত
0 comments:
Post a Comment