জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাওয়া ও ‘গরিবের হাসপাতাল’ খ্যাত জাতীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালনার বা স্বাস্থ্যসেবার মূল দায়িত্বে নিয়োজিত আছে কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডারগণ সংক্ষেপে সিএইচসিপি। এই সিসিগুলোর মূল চালিকাশক্তি সিএইচসিপিগণ হলেও তারা বাংলাদেশের সরকারের রাজস্বভুক্ত নন। কিন্তু গত ০৭ বছর ধরে সিএইচসিপিগণ যাদের সাথে হাতে হাতে মিলিয়ে একযোগে কাজ করছে তারা (স্বাস্থ্য সহকারি ও পরিবার কল্যান সহকারিগণ) রাজস্বভুক্ত।
চাকরি প্রকল্পভূক্ত হওয়ায় ব্যক্তি, পরিবার, সমাজে বিভিন্ন হেনস্থা মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পাশাপাশি চাকরির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা হওয়ায় তাঁরা সরকারের কাছে রাজস্বকরণের জন্য দাবি জানান। এরই প্রেক্ষিতে গত ২০ শে জানুয়ারী থেকে অবস্থান কর্মসূচি সহ বিভিন্ন কর্মসূচি এবং ০১ লা ফেব্রুয়ারি হতে আজ ১৩তম দিন পর্যন্ত ঢাকাতে আমরণ অবস্থান কর্মসূচি পালিত করে আসছে। তাদের এই অবস্থান বা কর্মবিরতির কর্মসূচির ফলে গ্রামিন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র রোল মডেল কমিউনিটি ক্লিনিক অচল হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে কমিউনিটি ক্লিনিকের মূল কর্ণধার সিএইচসিপিগণ আন্দোলনে ঢাকায় অবস্থানের কারণে এই কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কর্মকান্ডে ব্যবহৃত না হয়ে আবার নানান কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য গ্রহীতাগণ সেবা নিতে আস্থা হারাচ্ছেন ও সিসির প্রতি আবারও বিমুখ হয়ে পড়ছেন।
তার উৎকৃষ্ট প্রমান হচ্ছে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার লামার পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক। এই লামার পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপির অবর্তমানে তথা কর্মবিরতির ফাঁকে সিসিকে রড সিমেন্ট রাখার ঘর বানিয়েছে পরিবার কল্যাণ সহকারি। যা খুবই ন্যাক্কারজনক। যেখানের হওয়ার কথা ছিল সুবিধাবঞ্চিতদের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার স্থান।
এরুপ পরিস্থিতি দেখে উক্ত গ্রামের আপামর জনগণ ও সিসির কমিটির সদস্যবৃন্দ মাননীয় সিভিল সার্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অভিহিতপূর্বক সিএইচসিপিদের তাদের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে আবার যেন কমিউনিটি ক্লিনিক ফিরে আসে তার দাবি জানান। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের কমিউনিটি ক্লিনিকের এই অর্জন ও সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সিএইচসিপিদের নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে অর্থাৎ ২০১১ সালের আগে ব্যবহৃত হতো জমির মালিকদের গরুছাগলের রাখার ঘর, ধান রাখার ঘরসহ আরও বিবিধ কাজে।
0 comments:
Post a Comment