ড্রাগ
যে রাসায়নিক পদার্থ প্রাণীর
শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের জীবিত কোষ-কলার সাথে বিক্রিয়া করে তাদের কার্যাবলী পরিবর্তন
সাধন করে এবং যা রোগ নির্ণয়, নিরাময়, প্রতিরোধ, উপসর্গ দূরীকরণ ও জন্মনিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি
উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তাকে ড্রাগ বলে।
মেডিসিন
নির্দিষ্ট মাত্রার ব্যবহার
উপযোগী এক বা একাধিক ড্রাগ এবং এক্সিপিয়েন্ট এর মিশ্রণকে মেডিসিন বলে।
পার্থক্য
ড্রাগ
|
মেডিসিন
|
||
১
|
নির্দিষ্ট
রাসায়নিক পদার্থ যা জীবিত কোষ কলার কার্যাবলী পরিবর্তন সাধন করে
|
১
|
এক
বা একাধিক ড্রাগ ও এক্সিপিয়েনেটর নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশ্রণ যা ব্যবহার উপযোগী
|
২
|
ড্রাগের
নামকে জেনেরিক নামে বলা হয়
|
২
|
মেডিসিনের
একটি ব্রান্ড বা কোম্পানী প্রদত্ত নাম থাকে
|
৩
|
নির্দিষ্ট
কোন মাত্রায় বা সরাসরি ব্যবহার উপযোগী নাও হতে পারে
|
৩
|
ব্যবহার
উপযোগী এবং নির্দিষ্ট মাত্রা থাকবে
|
৪
|
উপসর্গ
দূরীকরণ, জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রস্তুতি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়
|
৪
|
সাধারণত
চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়
|
৫
|
সকল
ড্রাগই মেডিসিন নয়; যেমন - খাবার বড়ি
|
৫
|
সকল
মেডিসিনই ড্রাগ
|
ড্রাগের উৎস
সাধারণত ৩ ধরনের উৎস হতে
ঔষধ প্রস্তুত হয়
১. প্রাকৃতিক
২. সাংশ্লেষিক (কৃত্রিম বা
রাসায়নিক পদ্ধতিতে প্রস্তুত)
৩. আংশিকভাবে সাংশ্লেষিক
প্রাকৃতিক
(Natural)
ক. খনিজ : যেমন - ম্যাগনেশিয়াম
সালফেট, লিকুইড প্যারাফিন
খ. প্রাণীজ : ইনসুলিন, হেপারিন
ইত্যাদি
গ. অনুজীবজাত : পেনিসিলিন,
ব্যাসিট্রেসিন (ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক থেকে প্রস্তুত
সাংশ্লেষিক
(Synthetic)
অ্যাসপিরিন, সালফোনোমাইড
ও পেথিডিন ইত্যাদি
আংশিক
সাংশ্লেষিক (Semi Synthetic)
অ্যামপিসিলিন, এমোক্সিলিন
0 comments:
Post a Comment