বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতি এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রেও নতুন নতুন
আবিষ্কার সত্ত্বেও এমন অনেক রোগ রয়ে গেছে যেগুলোকে আমরা এখনো জয় করতে
পারিনি। শুধুমাত্র সতর্কতা এবং জ্ঞানই পারে আমাদেরকে এসব রোগ থেকে রেহাই
দিতে।
এমনই একটি রোগ হলো এইডস। এটি সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক রোগগুলোর একটি।
এই রোগের জন্য দায়ী এইচআইভি ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের মাত্র এক থেকে দুই
সপ্তাহের মধ্যেই এর লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে। এইচআইভি ধীরে ধীরে
আমাদের রোগ প্রতিরোধক কোষগুলোকে ধ্বংস করতে থাকে। আর এই ধ্বংসযজ্ঞ যখন
চুড়ান্ত সীমায় পৌঁছায় তখনই এইডস হয়। এইডস হলে একই সঙ্গে অনেকগুলো রোগ
আক্রমণ করে বসে। যার ফলে নিশ্চিত মৃত্যু হয়। ১৯৮৫ সালে প্রথম মানবদেহে
এইডস রোগ ধরা পড়ে। এরপর থেকে এই রোগে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ মারা গেছেন। প্রতি বছরের ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়গুলো কী।
১. নিরাপদ যৌন মিলন
বীর্য, যোনি রস এবং রক্তের মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ায়। ওরাল, ভ্যাজাইনাল বা অ্যানাল সেক্স এর মাধ্যমেও এটা ঘটতে পারে। সুতরাং অপরিচিত কারো সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত না হওয়াই এ থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায়। অথবা নিরাপদ যৌন মিলনের উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে।
বীর্য, যোনি রস এবং রক্তের মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ায়। ওরাল, ভ্যাজাইনাল বা অ্যানাল সেক্স এর মাধ্যমেও এটা ঘটতে পারে। সুতরাং অপরিচিত কারো সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত না হওয়াই এ থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায়। অথবা নিরাপদ যৌন মিলনের উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে।
২. দূষিত রক্ত
এইচইআইভি ভাইরাস আছে এমন কোনো ব্যক্তির দেহে ব্যবহৃত সুই ব্যবহার করলে আপনারও এইডস হতে পারে। মেডিকেল সেক্টর এবং ট্যাটু স্টুডিওতে এমনটা ঘটতে পারে। সুতরাং সিরিঞ্জ ব্যবহারের দরকার হলে বা ট্যাটু করানোর দরকার হলে একেবারে নতুন সুই বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করুন।
এইচইআইভি ভাইরাস আছে এমন কোনো ব্যক্তির দেহে ব্যবহৃত সুই ব্যবহার করলে আপনারও এইডস হতে পারে। মেডিকেল সেক্টর এবং ট্যাটু স্টুডিওতে এমনটা ঘটতে পারে। সুতরাং সিরিঞ্জ ব্যবহারের দরকার হলে বা ট্যাটু করানোর দরকার হলে একেবারে নতুন সুই বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করুন।
৩. মাদকের সুই
মাদকসেবিরা সাধারণত সিরিঞ্জ ব্যবহার করে মাদক সেবন করেন। সেই একই সিরিঞ্জ একাধিক জনে ব্যবহার করলে এইচআইভি হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি আছে। কারণ কোনো একজনের যদি এইচআইভি থাকে তা অন্যদের দেহেও ছড়িয়ে পড়বে।
মাদকসেবিরা সাধারণত সিরিঞ্জ ব্যবহার করে মাদক সেবন করেন। সেই একই সিরিঞ্জ একাধিক জনে ব্যবহার করলে এইচআইভি হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি আছে। কারণ কোনো একজনের যদি এইচআইভি থাকে তা অন্যদের দেহেও ছড়িয়ে পড়বে।
৪. দূষিত রক্তের ট্রান্সফিউশন
এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে যে কারোরই এইডস হতে পারে। এমনকি এইচআইভি আক্রান্ত লোকের দেহ থেকে একটি টিস্যু বা অঙ্গও এইডস ছড়াতে পারে। সুতরাং রক্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে যে কারোরই এইডস হতে পারে। এমনকি এইচআইভি আক্রান্ত লোকের দেহ থেকে একটি টিস্যু বা অঙ্গও এইডস ছড়াতে পারে। সুতরাং রক্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
৫. একাধিক যৌন সঙ্গী
অপরিচিত জনের সঙ্গে যৌন মিলন করলে এইডসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। কারণ যারা একাধিক মানুষের সঙ্গে যৌন মিলন করেন তাদের যৌনতাবাহিত রোগ হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।
অপরিচিত জনের সঙ্গে যৌন মিলন করলে এইডসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। কারণ যারা একাধিক মানুষের সঙ্গে যৌন মিলন করেন তাদের যৌনতাবাহিত রোগ হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।
৬. অনিরাপদ সুচবিদ্ধকরন
কান বা নাক ফোড়ানোর সময় বা এই ধরনের কোনো ছিদ্র করার সময় ব্যবহৃত সুচ থেকেও এইচআইভি ছড়াতে পারে। সুতরাং একেবারে নতুন সুচ ব্যবহার করে এই ধরনের ছিদ্র করুন।
কান বা নাক ফোড়ানোর সময় বা এই ধরনের কোনো ছিদ্র করার সময় ব্যবহৃত সুচ থেকেও এইচআইভি ছড়াতে পারে। সুতরাং একেবারে নতুন সুচ ব্যবহার করে এই ধরনের ছিদ্র করুন।
৭. সংক্রমিত মায়ের কাছ থেকে সংক্রমণ
যে মায়ের দেহে এইচআইভি আছে তার সন্তানেরও এইচআইভি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। জন্মের আগে বা পরেও এই সংক্রমণ ঘটতে পারে। জন্মের পরে বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে এই সংক্রমণ ঘটে। তবে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে এই সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব।
যে মায়ের দেহে এইচআইভি আছে তার সন্তানেরও এইচআইভি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। জন্মের আগে বা পরেও এই সংক্রমণ ঘটতে পারে। জন্মের পরে বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে এই সংক্রমণ ঘটে। তবে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে এই সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব।
৮. অন্যান্য যৌনতাবাহিত রোগ
আপনার যদি আগেও কোনো যৌনতাবাহিত রোগ হয়ে থাকে তাহলে আপনার এইডস হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। কারণ আগের যৌনতাবাহিত রোগের কারণে ত্বকে যে ক্ষত সৃষ্টি হয় তাতে এইচআইভি সহজেই দেহে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া যৌনতাবাহিত রোগ ত্বকে প্রদাহেরও সৃষ্টি করে যা সহজেই এইডসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
আপনার যদি আগেও কোনো যৌনতাবাহিত রোগ হয়ে থাকে তাহলে আপনার এইডস হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। কারণ আগের যৌনতাবাহিত রোগের কারণে ত্বকে যে ক্ষত সৃষ্টি হয় তাতে এইচআইভি সহজেই দেহে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া যৌনতাবাহিত রোগ ত্বকে প্রদাহেরও সৃষ্টি করে যা সহজেই এইডসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
সুত্র:কালেরকন্ঠ
0 comments:
Post a Comment