শিরোনাম
Loading...
Sunday, April 1

Info Post

 অটিজম এর চিকিৎসা অটিজম কেন হয় অটিজম শিশু অটিজম এর লক্ষন অটিজমের লক্ষণ অটিজম কী অটিজম স্কুল অটিজম কাকে বলে

কোনো শিশুর অটিজম সনাক্ত হেল তার অভিভাবক বিশেষত বাবা-মায়ের দায়িত্ব বেড়ে যায় অনেক। অনেক সময় সচেতনতার অভাবে বাবা মায়েরা সঠিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন। অভিভাবকেরা যদি এ ধরণের কোনো লক্ষণ তাদের সন্তানের মধ্যে দেখে থাকেন তবে কালক্ষেপণ না করে নিকটস্থ বিশেষজ্ঞ চিকৎসক/চিকিৎসা কেন্দ্র অথবা স্বাস্থ্য পরামর্শকের সাথে যোগাযোগ করবেন। 

অটিজম এর লক্ষনগুলোকে আড়াল না করে, অপপ্রচার ও অপিচিকিৎসায় প্রাতরিত না হয়ে বিজ্ঞানসম্মতভাবে জানতে চেষ্টা করুন শিশটির মধ্যে অটিজম বা অন্যান্য বিকাশজনিত সমস্যা আছে কিন। যদি অটিজম সনাক্ত হয়ে থাকে তবে চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী শিশটির পরিচর্যা ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা নিন এবং এক্ষেত্রেও প্রয়োজনে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য করুন।


অটিজম রয়েছে এমন শিশুর বাবা মায়ের জন্য সাধারণ কিছু পরামর্শ-

লক্ষণগুলো গোপন করবেন না

সন্তানের এ ধরনের লক্ষনকে লুকিয় রাখবেন না বা আড়াল করবেন না।



হতাশ হবেন না

অযথা ভেঙ্গে পড়বেন না, হতাশাগ্রস্ত হবেন না। আপনার হতাশার কারণে সন্তানের ভবিষ্যৎ আরো বাধাগ্রস্ত হতে পারে।


বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত থাকুন

যে কোনো ধরণের বিভ্রান্তি, অপপ্রচার ও  অপচিকিৎসা থেকে মুক্ত থাকুন। সরকারী ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে অটিজম এর সনাক্তকরণ ও পরিচর্যার জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক কেন্দে রয়েছে। সন্তানকে দ্রুত সেখানে নেয় আসুন।


সমস্যাটি ব্যাখা গ্রহণ করুন

সন্তানের অসুস্থতার ব্যাখ্যা গ্রহণ করুন। পরিবারের কোনো সদস্য/প্রতিবেশী/ বন্ধু বান্ধবের বিজ্ঞান সম্মত পরামর্শ গ্রহণ করুন।


পরিবারে সদস্যরা সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন

পরিবারের সকল সদস্য মিলে শিশুর পরিচর্যা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা বিষয়ে একটি সাধারণ সিদ্ধন্তে উপনীত হোন।


নিজেদের দায়ী করবে না

অটিজমের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় নি। কেন শিশুটির েএ সদস্যা হলো তা নিয়ে অভিভাবকেরা জেদেরকে বা িএক অপরকে দায়ী করবেন না। পারিবারিক সম্প্রীতি বজায় রাখুন।


ধৈর্য ধরুন

অটিজম যে ধরণের সদস্যা  সে ধরণের সমস্যা সমাধানের কোনো রাতারাতি চিকিৎসা পদ্ধতি নেই - রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী পরিচর্যা পরিকল্পনা। এই দীর্ঘমেয়াদী মাধ্যমে এ সমস্যায় আক্রান্ত শিশু ফিরে আসতে পারে মূল স্রোত ধারায়। তাই অযথা ধৈর্যহারা হওয়া ঠিক নয়। সদস্যটির স্বরুপ বোঝার চেষ্টা করতে হবে। চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতি আস্তা হারাবেন না।


সামাজিকতা শেখানো

পরিবার থেকেই সামাজিকতা শেখাতে হবে সকল শিশুকে - আর অটিজম আছে এমন শিশুর ক্ষেত্রে তো বটেই। বড়দের সম্মান করা, হাসির প্রত্যুত্তরে হাসা, সামাজিক  ও ধর্মীয় রীতিনীতির শিক্ষা দেবার জন্য শিশুর সাথে এসব সামাজিকতা আনষ্ঠানিকভাবে করতে হবে। সামাজিকতা বাড়ায় এমন আচরণ যেমন- সালাম দেওয়া, ধন্যবাদ দেয়া, টা টা, বাই বাই ইত্যদির চর্চা থাকতে হবে।


সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ

বিভিন্ন দাওয়াত, সামাজিক অুনষ্ঠান, বড় আয়োজনে শিশুটিকে সংগে নিন। লোকলজ্জার ভয়ে শিশটিকে ঘরে বন্দী করে রাখবেন না।


শিশুর সাথে খেলতে হবে

শিশুটির সাথে প্রতিদিন কিছুটা সময় নিয়ে মজা করে খেলুন। শিশুটির সাথে আনন্দঘন ও আরামদায়ক পরিবেশে সময় কাটান।


শিশুকে খেতে দিতে হবে

অটিজম রয়েছে এমন শিশুকে খেলা বিষয়ে উৎসাহিত করুন ও খেলার সুযোগ করে দিন। একা একা খেলা যায় এমন খেলার প্রতি নিরুৎসাহিত করে অনেকে মিলে খেলতে পারে এমন খেলা, যেমন বল খেলা, কাল্পনিক/মিছেমিঠি খেলা, ছোঁয়াছুয়ি, গঠনমূলক খেলা শেখাতে হবে এবং খেলতে উৎসাহিত করতে হবে।


কথা শেখাতে হবে

অটিজম আছে এমন শিশুর অন্যতম অন্যতম প্রধান সদস্যা তার কথা শিখতে না পারা। কথা শেখানোর জন্য তাকে একটা করে জিনিস নিয়ে সেগুলোর নাম স্পষ্ট করে শেখাতে হবে। ছোট ছোট শব্দ আগে শেখাতে হবে । তার সাথে কথা বলতে হবে।


প্রতীকি ভাষার ব্যবহার বোঝাতে হবে

শিশুকে ইশারা, ইংগিত, অঙ্গভঙ্গি বা ছবির সাহেয্যে ভাব প্রকাশ করা শেখাতে হবে। তার প্রয়োজনগুলোকে প্রকাশ করতে উৎসাহিত করুন।


শব্দভান্ডার ব্যবহার করতে হবে

শিশুর শব্দভান্ডার যাই হোক না কেন সেগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যে শ্বদগুলো সে ভোলো পারে সেগুলি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ বাক্য তৈরি শেখাতে হবে, পাশাপাশি নতুন শব্দ শেখানোর জন্য ছবি, প্রতীক ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।


ব্যক্তিগত কাজ শেখানো

শিশুর নিজের ব্যক্তিগত কাজ- যেমন দাঁতা ব্রাশ করা, জামা কাপড় পরা, নিজের যত্ন নিজে নেয়া, এধরণের কাজে পর্যায়ক্রমে অভ্যস্ত করাতে হবে। শিশুটিকে পরনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা যাবে না।


শখকে প্রাধান্য দেয়া

শিশুকে বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ বা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। যেমন, গান গাইতে চাইলে সেটা শেখানো, ছবি আঁকতে চাইলে উৎসাহ দেয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে যে বিষয়ে শিশুর ঝোঁক াছে সেদিকে উৎসাহ দিতে হবে।


বাবা-মাকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে

যে শিশুর অটিজমে রয়েছে তার সঠিক পরিচর্যা এবং তা সর্বাঙ্গিন কল্যাণের জন্য বাবা-মা এবং প্রয়োজনে পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

গ্রুপ তৈরি ও গ্রুপে প্রশিক্ষণ

বিশেষায়িত স্কুলের পাশাপাশি  যে শিশুদের অটিজম আছে তাদের অভিভাবকেরা নিজেরাও গঠন করতে পারেন ‘সেল্ফ হেল্প গ্রুপ’ বা ‘অভিভাবক ফোরাম’। এতে করে নিজেদের সাধারণ সদস্যাগুলো আলোচনা করার পাশাপাশি সমাধানের পথও খুঁজে পেতে পারেন।


কাঙ্খিত আচরণের জন্য পুরষ্কার

শিশু যদি কাঙ্খিত আচরণ করে তবে তার জন্য তাকে পুরষ্কার ও উৎসাহ দিতে হবে। অনাকাঙ্খিত আচরণের জন্য তিরষ্কার না করে কারণ জানার চেষ্টা করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।


দিনলিপি সংরক্ষণ

একটি ডায়েরীতে শিশুর আচরণ ও অভ্যাসের তালিকাগুলো নিয়মিত সংরক্ষণ করতে হবে। এত করে বোঝা যাবে তার আচরণে পরিবর্তন কতুটুকু হচ্ছে - এবং কি হারে হচ্ছে। এটা দেখে পরবর্তী করণীয় ও আনুষাঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।



অটিজম সম্পর্কে আরও পড়ুন

0 comments:

Post a Comment